কলকাতা২৩ মার্চ ২০২৫: সে এক অদ্ভুত অনুভূতি। রোমহর্ষক অনুভূতির সাক্ষী থাকলো বিশ্ব। ভোর ৩ টে ২৭ মিনিটে নেমে এল ড্রাগন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কয়েক ফুট উঁচুতে ওই যান থেকে খুলে যায় চারটে প্যারাশ্যুট। তখন ওই যানের গতি খুবই কম। ভাসতে ভাসতে নেমে আসে আটলান্টিক মহাসাগরে। এর পরেই মন ভাল করা দৃশ্য। সুনীতাদের ড্রাগন ক্যাপসুলের পাশে লাফালাফি করতে দেখা যায় ডলফিনদের যেন সুনীতাদের স্বাগত জানাতেই অপেক্ষা করছিল তারা। সুনীতাদের সমুদ্রবক্ষ থেকে ফিরিয়ে আন্তে আগেই পৌঁছে গিয়েছিল নৌ বাহিনীর জাহাজ। সুনীতাদের ক্যাপসুল এসে জুড়ে যায় ওই জাহাজের সঙ্গে। তারপর মহাকাশচারীদের ক্যাপ্সুলকে হাইড্রোলিক পদ্ধতিতে তোলা হয় জাহাজে। সেখানে ড্রাগন ক্যাপসুলের দরজা খোলে। ভারতীয় সময় ৪ টে ২২ মিনিট নাগাদ। তারপর একে একে বেরিয়ে আসেন। মহাকাশচারী নিক হগ ও আলেকজান্ডার গৰ্ভানোভ। তার পর একে একে বার করে আনা হয় সুনীতা ও বুচকে। ক্যাপসুল থেকে বেরোনোর সময় সুনিতাদের মুখে ছিল শান্তির হাসি। তারপর স্ট্রেচারে চাপিয়ে তাঁদের তোলা হয় জাহাজে। সেই জাহাজ এসে থামে ফ্লোরিডার উপকূলে। সেখানেই সুনিতাদের জন্য অপেক্ষা করছিল বিশেষ গাড়ি। তাতে চাপিয়েই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়, হিউস্টন জনসন স্পেস স্টেশনে। সত্যি ঘটনা কখনও কখনও হার মানায় গল্পকে। সেরকমই এক রূপকথার গল্পের ক্লাইম্যাক্স ঘটে গেল আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে। ৯ মাস মহাকাশের দুই বন্দি শেষমেশ পৃথিবীতে প্রাণ ভরে শ্বাস নিলেন। পৃথিবীর মাটিতে পা রাখলেন সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। তাঁদের নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিল গোটা বিশ্ব। সবার মুখে একটা প্রশ্ন! সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে একটাই প্রশ্ন। তাঁরা কি সুস্থভাবে ফিরতে পারবেন? তাঁরা ফিরলেন। কিন্তু এবার? এবার কোন কোন চ্যালেঞ্জ তাঁদের সামনে? দীর্ঘ দিন মহাকাশে থেকে কতটা ক্ষতি হয়েছে শরীরের? কীভাবে কেটেছে এতগুলো দিন? কীভাবে চলেছে ফেরার প্রস্তুতি? কীভাবে প্রতিমুহূর্তে প্রতিকূলতাকে পেরিয়েছেন তাঁরা? উত্তর খুঁজতেই বিশেষজ্ঞদের মতামত সহ TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘ঘরে ফিরল সুনীতা’। ২৩ মার্চ ২০২৫, রবিবার, রাত ১০ টায়।
দেখুন TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘ঘরে ফিরল সুনীতা’, ২৩ মার্চ ২০২৫, রবিবার, রাত ১০ টায়
