প্রাচীন জ্ঞান এ আধুনিক নেতৃত্বের সেতুবন্ধনে প্রফেসর (ড.) রমা প্রসাদ ব্যানার্জির দৃষ্টিভঙ্গি এবার  অনলাইনে

কলকাতা, ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫। এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সাক্ষী রইল কলকাতা, কারণ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রামস্যা (ড.) রমা প্রমাণ ব্যানার্জির ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করা হল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ঘিলেন ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার (পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারত) ড. অ্যান্ড্রু ফ্লেমিং, আমেরিকান অ্যাকাউন্টিং অ্যাসোসিয়েশনের (AAA) প্রাক্তন সভাপতি ও ইউনিভার্সিটি অফ সাউখ ফ্লোরিডার মুমা কলেজ অফ বিজনেস-এর দিন গিপেনভার স্কুল অফ অ্যাকাউন্টেন্সির পরিচালক প্রফেসর (ড.) মার্ক এইচ. টেলর, খ্যাতনামা লেখিকা রোজান আর, টেপর, জিনা অ্যান্ড কোম্পানির পরিচালক ও গ্রুপ হেড (এইচআর) লাকি কুলকার্নি, ভারতের প্রাক্তন ইউজিসি সচিব প্রফেসর (ড.) আর. কে. চৌহান, বিশিষ্ট অভিনেত্রী ঈশা সাহা, এবং ইআইআইএলএম-কলকাতার প্রধান পরামর্শদাতা ও মেন্টর এস. কে. মত।

এই ওয়েবসাইটটি একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, এডুপ্রেনিয়র, দার্শনিক ও সমাজসেবীর চিন্তাধারা এবং কর্মকাণ্ডের এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ব্যবস্থাপনা শিক্ষা, বৈদিক নেতৃত্ব এবং নৈতিক শাসন ব্যবস্থার ক্ষেতে তাঁর অনন্য অবদান সুপ্রতিষ্ঠিত। তাঁর নতুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটি তাঁর অগ্রগণ্য ধারণা ও উদ্যোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।।

প্রামসর (ড.) ব্যানার্জি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ও ব্যবস্থাপনায় পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেথেন, স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয় (সুইডেন) থেকে পোস্ট-ডক করেছেন এবং ভারতের ইনস্টিটিউট অফ ডিরেক্টরদ-এর ফেলো। তিনি এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে। উপস্থিত থেকেছেন। বর্তমানে তিনি ভারতের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টিগ্রেটেড লার্নিং ইন ম্যানেজমেন্ট (EILM-Kolkata)-এর চেয়ারম্যান ও পরিচালক। একইসঙ্গে, তিনি EllILM-Kolkata Centre for Leadership & Ethics (EKCLE)-এর প্রতিষ্ঠাতা, যা মূল্যবোধভিত্তিক শিক্ষার প্রসারে আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে কাজ করে।

ওয়েবসাইটে প্রফেসর (ড.) ব্যানার্জির বিভিন্ন উদ্যোগের পরিচয় মিলবে:

• বৈদিক নেতৃত্ব। প্রফেসর (ড.) ব্যানার্জির ‘বৈদিক নেতৃত্ব’ ধারণা মহাভারতের রাজধর্ম ও মাতৃত্বমূলক নেতৃত্বের আদর্শের মাধ্যমে আধুনিক নেতৃত্বের চ্যালেজ মোকাবিলা করার পথ দেখায়।

• এশীয় সংহতি উদ্যোগ। এশিয়া মহাদেশে ঐক্য ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি “এশীয় সংহতি উদ্যোগ শুরু করেছেন, যা ভৌগোলিক সীমানার বাইরে গিয়ে একটি সুসংহত ও শক্তিশালী এশিয়া গঠনের স্বপ্ন দেখে।

• সামাজিক বিকাশ: বৈদিক দর্শনের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা এই ধারণাটি ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিকাশের মাধ্যমে আত্মিক উন্নতি, ন্যায়সঙ্গত সুযোগ, এবং সমষ্টিগত কল্যাণ নিশ্চিত করতে চায়।

• সত্যের অনুসন্ধান: সত্যের অনুসন্ধানকে তিনি ব্যক্তিগত ও সামাজিক উন্নতির মূলভিত্তি বলে মনে করেন। এটি সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, নৈতিক অনুসন্ধান এবং সকল ক্ষেত্রে সত্যের সন্ধানের উপর জোর দেয়।

• শিক্ষা বিকাশ। ভবিষ্যতের নেতাদের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক সামর্থ্য্য, আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা ও নৈতিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার উদ্দেশ্যে শিক্ষা প্রসারের উপর তিনি বিশেষ গুরুত্ব দেন।

প্রফেসর (ড.) ব্যানার্জি কেবল একজন শিক্ষাবিদ নন, তিনি একজন বিশিষ্ট সমাজসেবীও। তিনি বহু দাতব্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য মৌলিক পরিষেবা সরবরাহ করে। ২০০৬ সালে তিনি “Towards Life Foundation (TLF)” প্রতিষ্ঠা করেন, যার লক্ষ্য কলকাতার বিভিন্ন অঙ্গলের অনগ্রসর শিশুদের জীবনমান উন্নত করা।

তিনি ‘সত্যের পথ’ নামক এক অনন্য আধ্যাত্মিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, যা মনে করে যে সংসার জীবনেই ঈশ্বর উপলব্ধি করা সম্ভব। এই সংগঠন ২০০২ সাল থেকে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করে, যার সম্পাদক তিনি নিজেই।

ওযেবসাইট উদ্বোধনের প্রসঙ্গে প্রফেসর (ড.) ব্যানার্জি বলেন, “নেতৃত্ব ও শিক্ষা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়, তবে তা সর্বদাই নৈতিকতা, জ্ঞান ও বৃহত্তর কল্যাণের ভিত্তিতে স্বাপিত হওয়া উচিত। আমাদের লড়া হল প্রাচীদ জ্ঞানের সাথে আধুনিক চ্যালেঞ্জগুলোর সেতুবন্ধন ঘটিয়ে আগামী দিনের দায়িত্বশীল ও নৈতিক দেতা তৈরি করা।”

বিখ্যাত Bengal British Icon Award বিজয়ী প্রফেসর (ড.) ব্যানার্জির অসাধারণ অবদান ভবিষ্যত প্রজন্মকে সততা ও মানবিকতার মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে অনুপ্রাণিত করে। তাঁর নতুন ওয়েবসাইট শিক্ষাবিদ, গবেষক ও ভবিষ্যৎ নেতাদের জন্য এক মূল্যবান জ্ঞানের ভাণ্ডার হয়ে উঠবে, যেখানে তারা নেতৃত্ব, ব্যবস্থাপনা ও নৈতিকতা নিয়ে তাঁর উদ্ভাবনী ভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *