গৌড়ীয় মিশন শ্রীল প্রভুপাদের ১৫০তম আবির্ভাব বার্ষিকীর মহাসমাপ্তি অনুষ্ঠান ঘোষণা

কলকাতা, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু মিউজিয়াম অডিটোরিয়ামে এক সাংবাদিক সম্মেলনে গৌড়ীয় মিশন শ্রীল প্রভুপাদের ১৫০তম আবির্ভাব বার্ষিকীর মহাসমাপ্তি অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করল। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ কলকাতার সায়েন্স সিটি মেইন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য এই মহাসমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ভারতের মাননীয় উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় রাজ্যপাল ডঃ সি. ভি. আনন্দ বোস এবং পর্যটন মন্ত্রকের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী সুরেশ গোপী।

এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গৌড়ীয় মিশনের আচার্য ও সভাপতি শ্রীমদ্ ভক্তি সুন্দর সন্ন্যাসী গোস্বামী মহারাজ, সহকারী সচিব শ্রীপাদ ভক্তি ভাস্কর ভারতী মহারাজ এবং শ্রীপাদ ভক্তি রক্ষক হৃষিকেশ মহারাজ। তাঁরা এই মহোৎসবের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, শ্রীলা ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী প্রভুপাদ (১৮৭৪-১৯৩৬) আধুনিক বৈষ্ণব আন্দোলন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

গৌড়ীয় মঠ মিশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রভুপাদ বৈষ্ণব ধর্মকে ‘দৈব বর্ণাশ্রম ধর্ম’-এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দেন এবং ভগবত ধর্মকে শান্তি, প্রেম ও সম্প্রীতির সার্বজনীন পথ হিসেবে প্রচার করেন। তিনি ভারতীয় আধ্যাত্মিক চিন্তাধারাকে পশ্চিমে পরিচিত করানোর ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ৬৪টি মঠ স্থাপন করেন এবং বিদ্বান, রাজপরিবারের সদস্য ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মনীষীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তাঁর প্রভাব নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, মদন মোহন মালব্য এবং চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারীর মতো বিশিষ্ট ভারতীয় নেতাদের মধ্যেও প্রসারিত হয়েছিল।

শ্রীল প্রভুপাদ আধ্যাত্মিক বই প্রকাশের পথপ্রদর্শক ছিলেন। তিনি ছাপাখানা ব্যবহার করে বিভিন্ন ভাষায় ভারতীয় ধর্ম ও দর্শনের কথা ছড়িয়ে দেন, যাতে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ তা জানতে পারেন। এই মহাসমাপ্তি অনুষ্ঠান তাঁর মহান আদর্শের প্রতি এক বিশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *