কলকাতা ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ :আগামীকাল সেই দিন, যার জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করি। উদ্বোধন হবে ৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার। শেষ মুহূর্তে যে বিষয়গুলি আপনাদের জানাতে চাই –
১। উদ্বোধন – ২৮ জানুয়ারি, বিকেল ৪টেয়। উদ্বোধক পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে থাকবেন ভারতে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ডক্টর ফিলিপ আকারমান, গ্যোটে ইন্সটিটিউট দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অধিকর্তা ড. মার্লা স্টুকেনবার্গ, বিশিষ্ট সাহিত্যিক আবুল বাশার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন দপ্তের মন্ত্রী মহোদয়।
২। শ্রী আবুল বাশারকে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিল্ডের জীবনব্যাপী সাহিত্য সম্মান পুরস্কার, যার অর্থ মূল্য ২ লক্ষ টাকা প্রদান করবেন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৩। এবারের বইমেলায় সর্বাধিক প্রকাশক ও লিটল ম্যাগাজিনের অংশগ্রহণ – প্রায় ১০০০।
৪। জার্মানি ছাড়াও থাকছে ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া, স্পেন, পেরু, আর্জেন্টিনা, গুয়াতেমালাসহ অন্যান্য লাতিন আমেরিকার দেশ। থাকছে বহুজাতিক প্রকাশনা সংস্থা এবং ভারতের প্রায় সব রাজ্যের প্রকাশনা সংস্থা।
৫। প্রধান গেট- সলিল চৌধুরী-ঋত্বিক ঘটক গেট, গ্যোয়েটে গেট, ম্যাক্সমুলার গেট, জার্মান স্থাপত্যের অনুকরণে দুটি গেট, বিশ্ববাংলা গেট এবং জীবনানন্দ-নজরুল গেট।
৬। মেলায় সরণির নামকরণ হয়েছে বিশিষ্ট জার্মান ব্যক্তিবর্গ যেমন রিলকে, ব্রেকট, কাফকা, মুলার এবং অন্যান্যদের নামে। এছাড়াও সরণির নামকরণ করা হয়েছে বাংলা এবং ভারতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সাহিত্যিকদের নামে।
৭। মেলায় বরিষ্ঠ নাগরিক দিবস, ‘চিরতরুণ’ – ৪ ফেব্রুয়ারি। সম্মাননা জ্ঞাপন করা হবে সাহিত্যিক জয় গোস্বামী, প্রকাশক রঞ্জন সরকার এবং পাঠক সত্যব্রত ঘোষালকে।
৮। বইমেলায় এই প্রথম থাকছে ম্যাসকট, দুটি হাঁস, হাসো ও হাসি, মেলায় আগত সবাইকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত।
৯। বইমেলা সবার। বই কখনো মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করে না। বই সেতুবন্ধন করে। এই আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা আমাদের এই শহরের, রাজ্যের এবং দেশের গর্ব। আসুন, আমরা সবাই একসঙ্গে এই আন্তর্জাতিক বই উৎসবকে আবার সফল করে তুলি।
১০। বই কিনুন লাইব্রেরি জিতুন! এবারের মেলাতেও থাকবে লটারি যেখানে ১৫ জন ভাগ্যবান বিজেতারা প্রতিদিন পাবেন ১০০০ টাকার বুক গিফট কুপন।
১১। আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন এখন। এই অ্যাপটি তৈরি করেছেন সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি। অ্যাপের মাধ্যমে গুগল লোকেশন অনুযায়ী মেলার মধ্যে যে কোনো স্টল খুঁজে পাওয়ার সুবিধা থাকবে। মেলার বিভিন্ন স্থানে থাকছে কিউ আর কোড, যা স্ক্যান করে অ্যাপ এবং ম্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন।
আপনাদের সবাইকে ৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় স্বাগত জানাই।