নতুন রূপে মা জগদ্ধাত্রী

কলকাতা:১০ নভেম্বর২০২৪:বাংলাদেশের বাড়িতে মহা ধুমধামে দুর্গা পুজো হয়। কিন্তু এ দেশে আসার পর প্রতি বছর দেশের বাড়ির দুর্গা পুজোয় সামিল হবার সুযোগ হয়ে ওঠে না সঞ্জীব পোদ্দারের। তাই কলকাতায় নিজের বাড়িতে দুর্গা পুজো করার ইচ্ছা হয় তাঁর। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও, সময়ের যে বড় অভাব। কারণ, যেমন তেমন করে পুজো করলেই তো হবে না। নিষ্ঠা ভরে, নিয়ম ও রীতিনীতি মেনে চারদিন ধরে দুর্গা পুজো করতে হবে। তাই সিদ্ধান্ত নিলেন, জগদ্ধাত্রী পুজো করার। একদিনেই সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী বিহিত পুজো করা যাবে। সেই ভাবনা থেকেই পনের বছর আগে কলকাতার ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারে দুর্গা বাড়ির কাছে শুরু করেছিলেন জগদ্ধাত্রী পুজো।

এবছরও অত্যন্ত জাঁকজমক সহকারে জগদ্ধাত্রী পুজো করলেন সঞ্জীব বাবু। এবারের প্রতিমা প্রচলিত জগদ্ধাত্রীর রূপ নয়। মাতৃ প্রতিমার রূপ দেওয়া হয়েছে সঞ্জীব বাবুর ভাবনা অনুসারে। মা জগদ্ধাত্রীর সঙ্গে রয়েছেন দেবাদিদেব মহাদেব। মায়ের হাতে নেই কোন অস্ত্র। সেগুলো রাখা হয়েছে মায়ের পায়ের কাছে।
১০ নভেম্বর রবিবার, সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী বিহিত পুজোর পাশাপাশি কুমারী পুজোও করা হয়। সাড়ে চার বছরের এক বালিকাকে কালিকা নামে পুজো করা হয়। দর্শনার্থীদের জন্য ছিল অন্ন ভোগের আয়োজন।

সঞ্জীব বাবুর স্ত্রী শিল্পী পোদ্দার জানিয়েছেন, আগে পুজোর দিন দরিদ্র নারায়ণ সেবা ও বস্ত্র বিতরণ করা হতো। কয়েক বছর ধরে জগদ্ধাত্রী পুজোর পরে তারাপীঠ কিংবা শান্তিনিকেতনে গিয়ে দরিদ্র নারায়ণ সেবা ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এবারও প্রায় এক হাজার মানুষকে খাবার ও বস্ত্র দেওয়া হবে।

পুজোয় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আলোকচিত্র শিল্পী ও রাজ্য সরকারের রাজস্ব বিভাগের যুগ্ম কমিশনার অনুপম হালদার এবং রাজস্ব বিভাগেরই আর এক যুগ্ম কমিশনার পাঞ্চালী মুন্সী। অনুপম হালদার বলেন, ” মাতৃশক্তির আরাধনাই সব নয়। নারীকে যেন আমরা যথার্থভাবেই সম্মান করতে পারি। মায়ের কাছে প্রার্থনা করলাম, যেন নিজেকে উন্নত করে সুচিন্তা কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *