কলকাতা, ২৮ এপ্রিল: ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে। ঘুরছে পৃথিবী। একদিন। দুদিন। তিনদিন। দেখতে দেখতে হাজার দিন। এগারোশো দিন। আরও একমাস। তারপর সেই দিনটা এল। সেদিন কলকাতা পুড়ছে রোদের তাপে। ঘড়িতে সকাল ১০ টা। অনেক আন্দোলন লড়াইকে পিছনে ফেলে রেখে, শয়ে শয়ে চোখ তাকিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দিকে। বিচারের আশায়।
২২ এপ্রিল ২০২৪। সোমবার। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় রায়দানের হল। কত পথ ঘুরেছে এই মামলা! কত বিচারপতির এজলাসে কত দিন ধরে চলেছে লড়াই। এবারে বিচারের পালা। রায় দিল আদালত। বাতিল হল ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল। ২২০০০ হাজারের বেশি কর্মরত শিক্ষকের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। প্যানেলে না ছিল ২৫৭৫৩ জনের। ক্যান্সার আক্রান্ত নলহাটির সোমা দাস ছাড়া সবাইকে নতুন করে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। পঁচিশ হাজার পরীক্ষার্থীর এই পরিণতির জন্য দায়ী কে?
দুর্নীতির ব্ল্যাক হোলে রাজ্য। শাসকদলের ৪ মন্ত্রী-বিধায়ক গারদে রেশন থেকে চাকরি চুরির অভিযোগে। রাজ্যে প্রতিদিন রেড করছে ইডি, সিবিআই। চলছে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত। আবার কি নতুন করে ঘুরবে তদন্তের মোড় ? উঠে আসবে দুর্নীতি ঢাকতে করা প্রস্তাব করেছিল সুপার নিউমেরিক পদ? কিন্তু আজ এই দুর্নীতির পাহাড়ে প্রশ্ন উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই। হাই কোর্ট বাতিল করেছে প্যানেল। এখন সুপ্রিম কোর্টে আবার গড়িয়েছে জল। সে দিকেই তাকিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু রাজনীতির জল গড়াচ্ছে কোন দিকে?
ভোটের হাওয়ায় রায়কে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে রায়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে। নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির। দুর্নীতির দায় কি এড়াতে পারবে রাজ্যের শাসক? যোগ্যরা কি নিজেদের শিক্ষক হিসেবে দেখতে পাবেন কোনও দিন? এই রায় কী প্রমান করল? রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদন্ড কি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে? দুর্নীতির গভীর জলের মাছেদের কী শাস্তি মিলবে? নাকি আবারও চলবে গড়িমসি? বিশিষ্টদের মতামত সহ বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধান করে TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘উদোর পাপে বুধো বেকার!!’। দেখুন ২৮ এপ্রিল, রবিবার রাত ১০ টায়।