‘পূজো পরিক্রমা – আনন্দে আবদারে উমা দর্শন ২০২৫’-এর মাধ্যমে বঞ্চিত শিশুদের আজীবন চিকিৎসা সেবার অঙ্গীকার করল জে.আই.এম.এস.এইচ (JIMSH)

কলকাতা: সহানুভূতি ও সংস্কৃতির অনন্য সংযোগে জগন্নাথ গুপ্ত ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল (JIMSH) গর্বের সঙ্গে আয়োজন করল ‘পূজো পরিক্রমা – আনন্দে আবদারে উমা দর্শন ২০২৫’। এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল এক গভীর অঙ্গীকার—সমাজের বঞ্চিত শিশুদের আজীবন বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা ও সাংস্কৃতিক লালনপালন নিশ্চিত করা।

উৎসবের আবেগ ও সামাজিক দায়বদ্ধতায় ভরপুর এই উদ্যোগে হাসপাতাল ঘোষণা করল সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা—যা শুধুমাত্র দানের সীমায় আটকে নেই, বরং এক রূপান্তরমূলক যাত্রার সূচনা। যাত্রা যেখানে অগ্রাধিকার পায় স্বাস্থ্য, মর্যাদা ও সংস্কৃতির পরিচর্যা।

“সত্যিকারের সেবা শুধু চিকিৎসায় সীমাবদ্ধ নয়, তা জীবনকে বদলে দেয়,” — মন্তব্য করলেন জে.আই.এম.এস.এইচ – এর চেয়ারম্যান মি. কৃষ্ণকুমার গুপ্ত। “এই দুর্গাপূজায় মা দুর্গার আশীর্বাদ আমাদের কাছে এসেছে দায়িত্বের আকারে—যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব, যাদের সমাজ অনেকসময় উপেক্ষা করে। এই শিশুরা আজ থেকে জে.আই.এম.এস.এইচ পরিবারের স্থায়ী অংশ। তাদের সুস্থতা, তাদের ভবিষ্যৎ—এটাই আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।”

বাংলার বাউল ঐতিহ্যের আত্মময় দর্শনের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যকে জুড়ে দিয়ে জে.আই.এম.এস.এইচ শিশু ও অতিথিদের সামনে তুলে ধরল বাউল সঙ্গীতের দর্শন—যেখানে সরলতা, মিলন ও আধ্যাত্মিক সত্যের সুর ধ্বনিত হয়। পরিবেশনা ও অংশগ্রহণমূলক পর্বের মাধ্যমে শিশুদের দেওয়া হল শুধু একটি সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতাই নয়, বরং পরিচয় ও আত্মীয়তার অনুভূতি।

এই উপলক্ষে, বাউল সম্রাট পূর্ণদাস বাউলকে তাঁর অসামান্য শিল্পযাত্রা ও দার্শনিক গভীরতার স্বীকৃতিস্বরূপ আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করল জে.আই.এম.এস.এইচ। একইসঙ্গে তাঁকে দেওয়া হল আজীবন স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসার আশ্বাস—যা কেবল শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধাই নয়, দেশের সাংস্কৃতিক আত্মাকে লালন করার প্রতিশ্রুতিও।

পশ্চিমবঙ্গের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জগন্নাথ গুপ্ত ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল (JIMSH) আজ শুধু একটি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান নয়—এটি এক মানবিক আন্দোলনের আলোকবর্তিকা। আধুনিক পরিকাঠামো, নিবেদিতপ্রাণ চিকিৎসক ও শিক্ষকমণ্ডলী, এবং সামাজিক সমতার অটল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে জে.আই.এম.এস.এইচ গড়ে তুলেছে চিকিৎসার এক নতুন দিগন্ত।

অগ্রণী চিকিৎসা, অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বাস্থ্য উদ্যোগ বা সংস্কৃতিমূলক সম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ড—সবকিছুর মধ্য দিয়েই জে.আই.এম.এস.এইচ তার মূল লক্ষ্য পূরণে অটল: “আরোগ্য, সম্মান আর মানবকল্যাণ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *