গনেশ চতুর্থী আয়োজনে রহড়া ‘গণপতি মহোৎসব পুজো কমিটি’ –

কলকাতা ২৭আগস্ট ২০২৫ :খড়দহ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপ্রতিনিধি স্নেহাশিস পাল, বারাকপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুকুমার শীল, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি পরিষেবা বিভাগের প্রাক্তন মহানির্দেশক গোপালকৃষ্ণ ভট্টাচার্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি বিভাগের অন্যতম যুগ্ম আয়ুক্ত অনুপম হালদার, প্রখ্যাত সাংবাদিক তথা অভিনেতা ডঃ ঋতব্রত ভট্টাচার্য, সাংবাদিক মৃত্যুঞ্জয় রায়, চলচ্চিত্র নির্দেশক শিউলি গোমস ও অনুসূয়া সামন্ত, মডেল তথা অভিনেত্রী সাথী সরকার সহ একঝাঁক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উন্মোচিত হল রহড়ার ‘গণপতি মহোৎসব পুজো কমিটি’ আয়োজিত গণেশ মূর্তি তথা মণ্ডপ।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম কমিশনার অনুপম হালদার জানান গনেশ পুজো দিয়েই বাঙালির উৎসবের শুরু হয়। সমাজের এরকম অস্থির সময়ে এই পুজোর মাধ্যমে তিনি সমাজের মঙ্গলকামনা করেন। এছড়াও তিনি বলেন, বাঙালিরা এখনও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়নি এবং বাঙালি সমাজ একত্রিত হয়ে বাঙালির এই ইতিবাচকতা গনেশ পূজার মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে পোঁছে দেবে এছাড়াও বিখ্যাত সাংবাদিক তথা অভিনেতা ডঃ ঋতব্রত ভট্টাচার্য জানান মহাকাব্য লিখেছিলেন সিদ্ধিদাতা গনেশ। গনেশ শর্ত হিসাবে বলেছিলেন একবার লেখা থামালে তিনি থেমে যাবেন তাই এই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন সমস্ত সাংবাদিক, কবি, লেখক যারা সমাজের কথা বলেন এবং লেখেন তারা যেন গনেশ ঠাকুরের এই কলমের স্বতঃস্ফূর্ততা এবং সততা বজায় রাখেন।

আয়োজক সংস্থার পক্ষে মলয় দাস জানিয়েছেন, “২০ বছর আগে মহারাষ্ট্রের প্রসিদ্ধ ‘সিদ্ধি বিনায়ক’ মন্দিরে পুজো দিয়ে এসে রহড়ার বুকে প্রথম বারোয়ারিভাবে গণেশ আরাধনা শুরু করেছিল ‘গণপতি মহোৎসব পুজো কমিটি’। এখানকার পুজো জনমানসে এতটাই প্রভাব ফেলেছে যে পুজো দিতে আসা আবালবৃদ্ধবনিতা গণেশ মূর্তিতে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার আগে গণেশের মুষিকের কানে কানে নিজেদের ইচ্ছা প্রকাশ করে থাকে।”

আয়োজক সংস্থার তরফ থেকে আরো জানানো হয়েছে, ” গণপতি মহোৎসব পুজো কমিটি-র পরে এই এলাকায় আরো শতাধিক গণেশ পুজো শুরু হলেও, ধারে-ভারে তথা কৌলিন্যে এই পুজোর আশেপাশে কেউ পৌঁছাতে পারে নি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *