সুপার সিক্সের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় অব্যাহত ইস্টবেঙ্গলের

সুদীপ্ত ভট্টাচার্য

কলকাতা লিগের সুপার সিক্সের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় অব্যাহত ইস্টবেঙ্গলের। মঙ্গলবার নিজেদের ঘরের মাঠে মশালের জ্বলন্ত শিখায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে একপ্রকার ছাড়খাড় হয়ে গেল সুরুচি সংঘ। খেলার ফল ৫-০।

চলতি বছরের কলকাতা লিগে প্রথম থেকেই যেন দূরন্ত ছন্দে রয়েছে বিনো জর্জের ইস্টবেঙ্গল। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে একটি মাত্র ড্র করে গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেই সুপার সিক্সে নিজেদের জায়গা পাকা করে নিয়েছিলেন লাল-হলুদ বাহিনীর জুনিয়র সৈনিকরা।

কলকাতা লিগ অনেক দিন আগেই তার পুরনো গরিমা হারিয়েছে। তবুও আগেও যেমন ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে বহু তারকার জন্ম এই লিগ খেলেই, ঠিক তেমনি এখনও তার ব্যতিক্রম নয়। সায়ন, বিষ্ণু, জেসিন, আমন সিকে, এঁদের পারফরম্যান্সের গ্রাফ দেখলে তা সহজেই অনুমেয়। এবং ভবিষ্যতে এঁরাই ভারতীয় ফুটবলের উঠতি হিরো।

আগের ম্যাচে কাস্টমসকে হারানোর পর মঙ্গলবার সুরুচি সংঘকে নিয়ে একপ্রকার পর্যুদস্ত করল ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা লিগে লাল- হলুদের এইরকম আলোকজ্জ্বল পারফরম্যান্স শেষ কবে দেখা গিয়েছিল তা জানতে অবশ্যই পেছনে ফিরে যেতে হবে। এই ইস্টবেঙ্গল যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে সাত, আট কিংবা নয়ের দশকের লাল-হলুদের স্বর্ণোজ্জ্বল অধ্যায়কে।

ইস্টবেঙ্গলের এই সাফল্যের নেপথ্যে যাঁর অবদান অনস্বীকার্য তিনি বিনো জর্জ। তবে তাঁর সহকর্মী হিসেবে বরুণ মজুমদারের অবদানও কম নয়। বিনো জর্জ ইস্টবেঙ্গল কলকাতা লিগের দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিগত কয়েক বছর ধরে যে পরিশ্রম করে জুনিয়র খেলোয়াড় বাছাই করে তাঁদের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন এই সাফল্য তার চাবিকাঠি।

চলতি বছর কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে নিয়মিত গোল করা প্রায় অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন কেরলের তরুণ স্ট্রাইকার জেসিন টিকে। মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম হল না। এ দিন ম্যাচে স্কোরশিটে নাম তোলার সঙ্গে সঙ্গে সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌড়ে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন জেসিন। জেসিন ছাড়াও সুরুচির বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে জোড়া গোল করেন কেরলের আর এক ফুটবলার আমন সিকে। এছাড়া বিনো জর্জের দলের হয়ে বাকি গোল গুলি করেন পিভি বিষ্ণু ও রসল।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সুরুচি সংঘকে বড় ব্যবধানে হারানোর সঙ্গে এবারের লিগ খেতাব জয়ের দৌড়ে অন্য দলগুলোর থেকে প্রায় অনেটাই এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। যদি আর বাকি দুটি ম্যাচে সায়ন-হীরারা নিজেদের সেরাটা দিয়ে জয়ের ধারা বজায় রাখতে পারেন তা হলে যে ইস্টবেঙ্গলের কাছে লিগ খেতাব জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *