ব্যাঙ্গালুরুর কাছে হার দিয়ে অভিযান শুরু ইস্টবেঙ্গলের

সুদীপ্ত ভট্টাচার্য

না অনেক কষ্ট করেও চলতি আইএসএল -এর প্রথম ম্যাচে জয়ের দেখা পেল না ইস্টবেঙ্গল। হার দিয়েই অভিযান শুরু করতে হল কোয়াদ্রাতের দলকে। ব্যাঙ্গালুরু এফসির কাছে কান্তিরাভায় ১-০ গোলে হারের মুখ দেখল কোয়াদ্রাত ব্রিগেড। দক্ষিণের দলটির হয়ে জয়সূচক গোল এল ভেঙ্কটেশের পা থেকে ।

গত বারের আইএসএল-এর প্লে অফের প্রায় দোড়গোড়ায় পৌঁছে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল লেসলি ক্লডিয়াস স্মরণীর ক্লাবটিকে। তাই এবার যথেষ্ট শক্তিশালী দল গড়েছিলেন কর্তারা। কিন্তু প্রথম ম্যাচে বিদেশি তারকাদের মধ্যে সেই ঝাঁঝ যেন কিছুটা ম্রিয়মান দেখালো। তবুও আশায় কথা, দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে আমন ও বিষ্ণু মাঠে নামায় বেশ কিছুটা চেনা ছন্দে দেখা গেল লাল-হলুদ ঝলক। তবে তাতেও কাজের কাজ করতে পারল না ইস্টবেঙ্গল।

ব্যাঙ্গালুরু যথেষ্ট শক্তিশালী দল। তাই নিজেদের ডিফেন্সকে শক্তিশালী করে আক্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল কোয়াদ্রাতের। তাই হিজাজির সঙ্গে হেক্টরকে রেখে ডিফেন্সিভ ব্লকার হিসেবে কোয়াদ্রাত রেখেছিলেন সৌভিক ও জিকসনকে। উপরে একা দিমিত্রিয়সকে রেখে দুই উইং -এ মহেশ ও নন্দাকে দিয়ে বাজিমাত করার চেষ্টা করেছিলেন স্প্যানিশ কোচ।

ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের উপর হাড্ডাহাড্ডি মনোভাব নিয়ে লড়াই শুরু করলেও বল পজিশনে এগিয়ে ছিল ব্যাঙ্গালুরু। এর মাঝেই জিকশনের নেওয়া দূরপাল্লার শট গুরপ্রীত বাঁচিয়ে দেন। তারপরই একটা প্রতি আক্রমণ থেকে রাকিবকে গতিতে পরাস্ত করে বক্সের মধ্যে থেকে বেঙ্গালুরুর তরুণ উইঙ্গার ভেঙ্কটেশ যে শট নেন, তা প্রভুসুখনকে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে যায়।

এরপর দ্বিতীয়ার্ধে দিয়ামন্তকসকে বসিয়ে ক্লেটন, এবং হিজাজিকে বসিয়ে তালাল, এবং মহেশকে বসিয়ে আমন ও বিষ্ণু মাঠে আসতেই খেলায় ফেরার চেষ্টা করে লাল-হলুদ। সুযোগ ও আসে বেশ কিছু। কিন্তু তা থেকে কাজের কাজ হল না‌।

এই অর্ধেই দুবার হলুদ কার্ড দেখে লালচুংনুঙ্গা মাঠ ছাড়লে দশ জনের ইস্টবেঙ্গলকে পেয়েও আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ব্যাঙ্গালুরু। ম্যাচের রেফারি ক্রিস্টল জনের ম্যাচ পরিকল্পনা নিয়েও দেখা দিল অনেক প্রশ্নচিহ্ন।

ম্যাচ শেষে কলকাতা থেকে ব্যাঙ্গালুরু যাওয়া প্রায় হাজার দুয়েক লাল-হলুদ সমর্থকদের মুখে‌শোনা গেল ম্যাচ হারের যন্ত্রণা। তবুও হাল ছাড়তে নারাজ তাঁরা। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কোয়াদ্রাতের মুখেও শোনা গেল খেলোয়াড়দের লড়াইয়ের প্রশংসা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *