সুদীপ্ত ভট্টাচার্য
চেন্নাইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টে জয় তুলে নিল রোহিত শর্মার ভারত। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে তারা হারাল ২৮০ রানে। ফলে দুই টেস্টের সিরিজে ইতিমধ্যেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই কানপুরের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামবে গম্ভীর ব্রিগড।
গতকাল টাইগারদের সামনে ৫১৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা খাড়া করে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এত বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দিনের শেষে চার উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে যান শাকিব, লিটন দাসরা। আর চতুর্থ দিনেও সেই চাপ কাটিয়ে ম্যাচ বার করে আনতে ব্যর্থ হলেন বাংলাদেশের বাকি ছয় ব্যাটসম্যান। ফলে যা হওয়ার তাই হল। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৪ রানেই গুটিয়ে গেলবাংলাদেশ।
সদ্য টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় করে এখন আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছে ভারতীয় দল। কোনও বাধাই তাঁদের কাছে এখন বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। সেখানে বাংলাদেশ তো কোনও প্রতিপক্ষই নয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে সিরিজ জিতে বাড়তি মনোবল পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সাকিব-লিটনদের মাথায় রাখা উচিত ছিল এই মুহূর্তে পাকিস্তান এখন অতীতের ছায়া মাত্র। কাজেই তাদের হারানো আর ফর্মের শিখরে বিরাজ করা ভারতকে হারানো এত সহজ হবে না তাঁদের কাছে। ফর্মে থাকা ভারত যে কতটা ভয়ঙ্কর হতছ পারে তার ফলও তারা পেয়ে গেল চিপকের ২২ গজে।
চতুর্থ দিনের খেলার যে এত তাড়াতাড়ি সমপেন ঘটবে তা অনেকেই ভাবেননি। কিন্তু ক্রিকেট যে এক বলে খেলা। পাশাপাশি অনিশ্চয়তার আর এক নামও ক্রিকেট। তবে ভারতীয় দল এই মুহূর্তে যা ছন্দে রয়েছে সেখানে টাইগারদের কাছে ভারতের হারাটাই হত অঘটনের অঘটন হত। অবশ্য তা ঘটেনি। এবং ঘটা হয়তো সম্ভবও ছিল না। আর যদি তা ঘটত তাহলে চিপকের ইতিহাসের পাতায় তা লেখা থাকতো স্বর্ণাক্ষরে।
রবিবার ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। গতকালের অপরাজিত দুঈ ব্যাটসম্যান অধিনায়ক শান্ত ও সাকিব শুরুটা মন্দ করেননি। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। অশ্বিন -জাড্ডুর স্পিন টর্নেডোর সামনে হুরমুর করে ভেঙে পড়ে পদ্মাপাড়ের দলটির ব্যাটিং লাইনআপ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে চিপকে প্রথম ইনিংস যদি বুমরার হয়ে থাকে তবে দ্বিতীয় ইনিংস অবশ্যই অ্যাশের (অশ্বিনের)। মাত্র ২১ ওভার হাত ঘুড়িয়ে ৮৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট দখল করলেন বছর ৩৮-এর চেন্নাই এক্সপ্রেস। পাশাপাশি তিন উইকেট নিলেন জাদেজাও।
বাংলাদেশের পর ভারত খেলবে নিউজিল্যান্ড সিরিজ ও বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে। রয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার সুযোগও। কাজেই তার আগে এই সিরিজগুলিতে জয় তুলে নিয়ে আত্মবিশ্বাস মেন-ইন ব্লুজদের অনেকটা বাড়িয়ে দেবে তা আর বলার রাখে না। তবে এর মাঝে ভারতকে অবশ্যই চিন্তায় রাখবে টাইগারদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে ব্যর্থ হওয়া রোহিত বিরাটের রান না পাওয়া।