কলকাতা, ৩০শে জুন: হকারদের থেকে টাকা তোলেন রাজনৈতিক নেতা এবং পুলিশ অফিসাররা। নবান্ন থেকে হকার এবং দখলদারি সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশ অফিসারদের ও নিজের দলের বহু নেতা, কর্মীকে তুলোধোনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ জুন ২০২৪, সোমবার, তাঁদের ধমক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর রাজ্যজুড়ে উচ্ছেদ অভিযান চলেছে। দিকে দিকে বুলডোজার গুড়িয়ে দিয়েছে ফুটপথের ওপর বেআইনি কাঠামো। লক্ষ্য ‘দখল’ মুক্তি। রাজ্য জুড়ে ‘দখল’ মুক্তি অভিযানের মাঝেই ২৭ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে ফের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হকারদের নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। ‘উচ্ছেদ লক্ষ্য নয়, তবে একজন হকার একটিই জায়গাই পাবেন, একটি সিস্টেম মেনে হকারদের রাখা হবে বলে’ জানিয়ে দেন তিনি। বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর আবারও রাজনৈতিক নেতা এবং পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি জানান যে, ‘হকারদের এক মাস দেওয়া হচ্ছে। আপাতত উচ্ছেদ অভিযান চলবে না। তবে নতুন কাউকে বসতে দেওয়া হবে না।’ কিন্তু সত্যি কি এক মাসেই মিটবে এই ফুটপাথ আর জবরদখল সমস্যা? রাজ্যের দিকে দিকে জবরদখল হচ্ছে জল, জঙ্গল, পাহাড়, নদী। কীভাবে মিটবে সেই দখলদারি? ফুটপাথকে ‘দখল’ মুক্ত করতে ১৯৯৬ সালে বামফ্রন্ট সরকারও বুলডোজার চালিয়েছিল কলকাতার রাস্তায়। অপারেশন সানশাইন। সেই কালি এখনও বামফ্রন্টের গায়ে। সেদিন হকারদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ হকাররা ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তৃণমূল আমলে তাঁদের উচ্ছেদ হতে হবে না তো? কোন পথে হবে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই সম্যসার সমাধান? কাদের জন্য দিনে দিনে বাড়ছে রাস্তায় হকার সমস্যা? এই দখলদারিত্বে লুকিয়ে কোন ইকোনমিক্স? কারা কোটি কোটি ইনকাম করছেন রাস্তায় হকার বসিয়ে? সেই সত্যিই বের করে এনেছে TV9 বাংলা নিউজ সিরিজ। দেখুন TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘জবরদখল!’, ৩০ জুন, রবিবার রাত ১০ টায়।