কলকাতা,২১ এপ্রিল: ১ মার্চ ২০২৪। বেঙ্গালুরু। রামেশ্বরম ক্যাফে। লাঞ্চ টাইমে ভিড়। রেস্তোরাঁর কোনায় একটা ব্যাগ রাখা। কার ব্যাগ? কে এসে রেখে গেছে। এই প্রশ্নগুলো সেই সময় হয়তো কারও মনে আসেনি! হঠাৎ বিস্ফোরণ। ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইঅডি। বদলে গেল রামেশ্বরম ক্যাফের নকশা। সে দিন ওই বিস্ফোরণ কারও প্রাণ কেড়ে নেয়নি বটে, কিন্তু দশ জন গুরুতর ভাবে আহত হলেন। ফিরে এলেন মৃত্যুর মুখ থেকে। ৩ মার্চ ২০২৪। তদন্তে নামল এনআইএ। ২৭ দিন পর মিলল প্রথম লিঙ্ক। বাংলায় ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল জঙ্গিরা। দিনের পর দিন ধরে এই শহর কলকাতায় পথেঘাটে ঘুরে বেড়িয়েছে এই বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত দুই জঙ্গি। অতীতেও কলকাতায় বারবার আস্তানা গেড়েছে জঙ্গিরা।
২০০৭ সালে বেঙ্গালুরুতে ইনফরমেশন টেকনোলজি সংস্থায় নাশকতার ঘটনার উঠে এসেছিল আল বদর নামে একটা জঙ্গি সংগঠনের নাম। আর সেই ঘটনায় ধরা পড়েছিল ফৈয়াজ নামে এক যুবক। তদন্তে জানা যায় সে একটা সময় কলকাতায় ডেরা নিয়েছিল। ২০১৭ সালে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদেরও এই রাজ্য থেকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। সেই সঙ্গেই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইয়াসিন ভাটকলও নাকি লুকিয়েছিল এই বাংলাতেই। ঠিক যেমনটা লুকিয়েছিল রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত দুই অভিযুক্ত জঙ্গি।
১২ এপ্রিল ২০২৪। ভোরবেলা। দিঘা। দুজন জঙ্গিকে ধরতে অপারেশন চালাল NIA। জালে আব্দুল মথিন আহমেদ ত্বহা ও মুসাভির হুসেন শাজিব। কোথায় লুকিয়ে ছিল এই দুই জঙ্গি ২৮ দিন ধরে? TV9 বাংলার অন্তর্তদন্ত। সঙ্গে রয়েছে অতীতে বাংলার মাটিতেই ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর জঙ্গি হানা আমেরিকান সেন্টার আক্রমণ ও বৌবাজার ব্লাস্টের মতো ঘটনা। রাজনীতি কি হাওয়া দেয় বাংলায় এই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে? ভোটের আগে তাই জঙ্গি ধরা পড়া নিয়ে তরজা চলছে শাসক ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে। এই সব নিয়েই TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘সন্ত্রাসের ‘স্বর্গ’ রাজ্য’। ২১ এপ্রিল রবিবার, রাত ১০ টায়।