জয় ভট্টাচার্য
এই মুহূর্তে ভারতের ঘরের মাঠে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে ব্যস্ত বেন স্টোকস- মার্ক উর্ডরা। প্রথম টেস্টে বাজবলরা জয় ছিনিয়ে নিলেও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় টেস্টে বাজবলকে চরম শিক্ষা দিয়ে দিল রোহিত ব্রিগেড। আর নেপথ্যে যেমন ছিল অভিজ্ঞতার মিশ্রণ, ঠিক তেমনি ছিল নবাগত তারকাদের উত্থান। অবশ্য এই তালিকায় প্রথমেই থাকবেন দুই তরুণ যশস্বী ও সরফরা দুই তারকাই বাণিজ্য নগরীর। একজন যশস্বী হলে অন্যজন সরফরাজ খান।
যশস্বী অভিষেক টেস্টে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করে জানান দিয়েছিলেন তাঁর প্রতিভার। দরকার ছিল আর একটু সুযোগ পাওয়া।
ঘরের মাঠে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে বাজবলদের একের পর এক হুঙ্কার হয়তো দারুণভাবে তাতিয়ে দিয়েছিল যশস্বীকে। নয়তো এইভাবে ব্যাট করা কি সম্ভব? কোটি টাকার এই প্রশ্নের উত্তর একমাত্র দিতে পারেন যশস্বী স্বয়ং।
সিরিজ শুরু হতেই নিজামের শহরে ভারত হারলেও বিরাটহীন ভারতের স্কোরশিটে যশস্বীর নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ৮০ রানের দূরন্ত ইনিংস।
তারপর দুটো টেস্টে যশস্বীর পরপর সেঞ্চুরি। এক কথায় নিখুঁত ইনিংস উপহার। মার্ক উড, জো রুটরা হয়তো ভাবছিলেন এ কি আমাদের বাজবলকে মাটি ধরিয়ে দিচ্ছে এই ছেলেটা।
তৃতীয় টেস্টে সেঞ্চুরি করে যশস্বী প্রমাণ করল সে আগামী দিনে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপকে নির্ভরতা দিতে এসেছেন। হারিয়ে যেতে নয়। তিন টেস্টে ইতিমধ্যেই যশস্বী করে ফেলেছেন ৫৪৫ রান। বাকি দুটো টেস্টে সেঞ্চুরি সহ বেশ কিছু রান করতে পারলেই যশস্বঈ টপকে যাবেন সুনীল গাভাস্কারের করা এক ইনিংসে ৭৭৪ রানের রেকর্ড। সেটা নিয়ে আলোচনা অন্য দিন করা যাবে। কিন্তু যশস্বী তৃতীয় টেস্টে যেভাবে ব্যাট করছে তাতে ভবিষ্যতের নায়ক হয়তো পেয়ে গেল ভারত এ কথা বলা অত্যউক্তই হবে না।
শুধু কি যশস্বী। না তাই তো নয়। এই সিরিজে ভারতের পাওনা আরও এক তরুণ সরফরাজ খান। প্রচার বিমুখ সরফরাজ ও সুযোগ পেয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন যশস্বীর পাশাপাশি ভরসার আর এক নাম তিনিও।
এখন দরকার যশস্বী ও সরফরাজদের মতো তরুণদের আরও খেলার সুযোগ দিয়ে প্রস্ফটিত হওয়ার সুযোগ বিসিসিআই কর্তাদের দিতে হবে। কেননা যশস্বী ও সরফরাজরা কিন্তু প্রমাণ করে দিয়েছে সুযোগ পেলে ওঁরা ম্যাচ জেতাতে সক্ষম।