জয় ভট্টাচার্য
কলকাতা, 21শে ফেব্রুয়ারী: ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে এবার বদ্ধ পরিকর ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। কথায় নয়, এবার তারা কাজেই পরিণত করতে মাঠে নেমে পড়লেন।
চলতি মরশুমের সন্তোষ ট্রফির আসর বসেছে অরুণাচল প্রদেশে। আর সেই সন্তওষট্রফির মোট ৩৭টই ম্যাচ স্ট্রিমিং করার কথা ঘোষণা করেছে ফিফা। তারমধ্যে নক আউট পর্বের ম্যাচের পাশাপাশি থাকবে গ্রুপ পর্বের ও বেশ কিছু ম্যাচ।
অবশ্যই একটা ভালো উদ্যোগ। কেননা এ আইএফএফ দীর্ঘদিন ধরে নানা পরিকল্পনা করে আসছিল কিভাবে ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি করা যায়। আলোচনাও হয়েছে বহু। এবার হয়তো তার কিছুটা হলেও উন্নতির দিকে একটু হলেও এগোবে বলেই মনে করছেন অনেকে।
কেননা এক কালে এই সন্তোষ ট্রফির যে গরিমা ছিল, আজ তা আর নেই। এখন সন্তোষ ট্রফিতে রাজ্যগুলির হয়ে তাঁরা খেলেন তাঁরা সকলেই অনামি ফুটবলার। কাজেই এবার তাঁরাও সুযোগ পাবেন নিজের প্রতিভাকে বিকশিত করার।
পাশাপাশি শুধু স্ট্রিমিং করে ক্ষান্ত থাকলে হবে না। এআইএফএফ কর্তাদের এটাও মনে রাখতে হবে আরও বেশি করে সর্বওভআরতঈয় টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে হবে। একা আইএসএল কখনও ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির ধারক-বাহক হতে পারে না। গ্রাসরুট লেভেল থেকে প্রতিভার অন্বেষণ খুঁজে তাঁকে তো ঠিকভাবে গ্রূমিং করে সুযোগ দিতে হবে। তাই অবিলম্বে চালু করতে হবে ফেডারেশন কাপ, নাগজি, রোভার্সের মতো বন্ধ হয়ে যাওয়া ট্রফিগুলো। যেখানে প্রত্যেক দলের অংশগ্রহণ অতি অবশ্যই বআধ্যতামূলক করতে হবে। আইএসএল -এ যে সমস্ত খেলোয়াড়রা খেলবেন না, তাঁরাই খেলবেন এই সমস্ত টুর্নামেন্টগুলিতে। তাহলেই হয়তো ধীরে ধীরে উন্নতির পথে এগোবে ভারতীয় ফুটবল। পাশাপাশি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কর্তাদের এটাও নজর রাখতে হবে জেলা এবং রাজ্যের লিগ ফুটবলগুলিও যাতে নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করা যায়। কেননা ক্লাবগুলোর কাছে জেলাই হচ্ছে ফুটবলার দেওয়ার একমাত্র সাপ্লাই লাইন।
এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত ফিফার এই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত ভারতীয় ফুটবলকে উন্নতির পথে কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে তাই অবশ্য সময় হলেই দেখা যাবে।