প্রদীপ্ত চৌধুরী
একটা ঘটনার কথা বলা যাক। ছবির নাম ‘পিকনিক’। সুরকার সুধীন দাশগুপ্তর যতীন দাস রোডের বাড়িতে বসে তাঁর তৈরি সুরের ওপর কথা বসাচ্ছেন পুলকবাবু। গানের মুখরাটা তৈরি হয়ে গেছে। কিন্তু অন্তরায় পৌঁছে কিছুতেই আর যুতসই কথা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। এদিকে সময় ক্রমশ এগিয়ে চলেছে। রাত হয়ে গেছে অনেকটা। দক্ষিণ কলকাতা থেকে গাড়ি চালিয়ে ফিরতে হবে সেই হাওড়ায়। পুলকবাবু সুধীনবাবুকে বলতে বাধ্য হলেন, “আপনি অন্তরার সুর না বদলালে আমার আর কিছু করার নেই।” কিন্তু সুরকারও নাছোড়। ওই সুর এখন বদলানো নাকি অসম্ভব। এরপর সুধীনবাবু পাশের ঘরে গিয়ে পুলকবাবুর বাড়ি ফোন করে জানিয়ে দিলেন, বেশি রাত হয়ে যাওয়ায় তাঁকে আজ আর ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলকবাবুকে সে কথা জানাতেই তিনি নিশ্চিন্ত হলেন এবং নিমেষের মধ্যে লিখে ফেললেন সেই থেমে থাকা অন্তরা। ‘দিন এসে এসে / যায় ফিরে ফিরে / চোখ চেয়েই যে থাকে / মন সারাবেলা / সেই পথে পথে / কান পেতে রাখে / সব হারানোর পথে নেমে কি / পথ চাওয়া আর সাজে / মরি লাজে / বুকে বাজে’। দারুণ হিট করেছিল আশা ভোঁসলের গাওয়া সেই গান…’কেন সর্বনাশের নেশা ধরিয়ে তুমি এলে না যে’।