বায়োকেমিক চিকিৎসাকে আলাদা ভাবে স্বীকৃতির দাবীতে প্রতিবাদ মিছিল চিকিৎসকদের

কলকাতা:বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি বায়োকেমিক বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতে স্বীকৃত। ভারতবর্ষেও বায়োকেমিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে চিকিতসা হলেও এটিকে আলাদাভাবে স্বীকৃতি দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।
বায়োকেমিক চিকিতিসকদের দাবী, বায়োকেমিক চিকিৎসাকে হোমিওপ্যাথির সঙ্গে জুড়ে দিয়ে এক সঙ্গে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তারা বায়োকেমিককে আলাদা ভাবে স্বীকৃতি চান।
১৯৬৮ সালে ভারতবর্ষের সংসদে যে বিল পেশ হয় সেই বিলের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭০ সালে আয়ুর্বেদ, ইউনানী, সিদ্ধি সংসদে পাস হয়। বায়োকেমিক এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে হোমিওপ্যাথি স্বীকৃতি লাভ করে। এর মূল কারণ হল বায়োকেমিক ঔষধের গুণগত মান বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত এবং সর্বজনবিদিত। ফলে সহজেই স্বীকৃতি লাভ করে হোমিওপ্যাথি। এর ফলে বঞ্চনার শিকার হয় বায়োকেমিক চিকিৎসকরা। বায়োকেমিকের আবিষ্কারক ও চিকিৎসা পদ্ধতি আলাদা হলেও পৃথক কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্ত করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ বায়োকেমিক আদালতের দারস্ত হয় বায়োকেমিক চিকিৎসাকে আলাদা করে স্বীকৃতির দাবীতে। দীর্ঘ মামলার পর ১৯৯৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট কাউন্সিলের পক্ষে রায় দেয়। কিন্তু তার পরেও সরকার এটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। এর পর ২০১১ সালে আবারো বায়োকেমিককে স্বীকৃতির দাবীতে ডাক্তার টি. কে বাগচী সহ একাধিক চিকিৎসকরা মিলে আদালতের দারস্ত হয়। ২০১২ সালে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে নির্দেশ দেয় ১৬ সপ্তাহের মধ্যে সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ বায়োকেমিক কে বায়োকেমিকের আলাদা কাউন্সিল গঠনের অনুমোদন দিতে হবে। হাইকোর্টের রায়কে উপেক্ষা করে আজ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক তা না করে বায়োকেমিক চিকিৎসকদের সঙ্গে বঞ্চনা করে চলেছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন লক্ষ লক্ষ চিকিৎসক সহ রোগীরা। দীর্ঘ এই বঞ্চনার প্রতিবাদে কলকাতার রাজপথে নেমে আন্দোলনে সামিল হল শত শত চিকিৎসক।
চিকিৎসকরা ধর্মতলার রানী রাসমোনী রোড থেকে মিছিল করে গান্ধী মুর্তি পর্যন্ত আসেন।
পরে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানান,এ লজ্জা গোটা দেশের লজ্জা। এ লজ্জা স্বাধীন ভারতের লজ্জা। এর সুরাহা না হলে এই আন্দোলন জারি থাকবে এবং আগামীতে দিল্লির যন্তর মন্তরে হাজার হাজার ডাক্তারের সমন্বয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবেন তারা।
সংস্থার সেক্রেটারি ডক্টর এন. সি বাগচী বলেন, যতদিন না কাউন্সিলকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে ততদিন তারা আন্দলন চালিয়ে যাবেন।
যে ডাক্তারদের থাকার কথা হসপিটালে তারা কেন রাস্তায় মিছিল করবে? এর সমাধান সরকারকেই করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *