গয়া:
অভিবক্ত বাংলার বাজিতপুরের ছোট্ট বিনোদ উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুর মঠের যোগীরাজ গম্ভীরনাথজির কাছ থেকে দীক্ষা নেওয়ার পর মায়ের আদেশে পিতার পারলৌকিক কার্য সম্পাদনের জন্য গয়ায় আসেন। গয়া স্টেশনে নামতেই পান্ডারা তাঁকে ঘিরে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকেন। পান্ডাদের এই অত্যাচারে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন ব্রম্ভচারী বিনোদ।
পান্ডাদেরকে ছুঁড়ে দূরে ফেলে দিয়ে সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি প্রতিজ্ঞা করেন সাধারণ ধার্মিক মানুষের পারলৌকিক কার্যের সুবিধার্থে তাঁর প্রথম কাজ হবে তীর্থসংস্করণ।
এরপর আজ থেকে ১০০ বছর আগে ১৯২৪ সালে গয়াতেই প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ।
তীর্থযাত্রীদের থাকার জন্যে তৈরি হয় যাত্রী নিবাস। সকলে যাতে নির্বিঘ্নে স্বল্প ব্যয়ে পিন্ডদান করতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয় ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী ও স্বেচ্ছাসেবকদের পরিচালনায়। এরপর একে একে হরিদ্বার, ঋষিকেষ, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ সহ ভারত বর্ষের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে এমনকি সারা বিশ্বে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ গড়ে ওঠে।
যে পান্ডাদের অত্যাচার রুখতে এই আশ্রম গড়ে উঠেছিল ১০০ বছর পর সুষ্ঠুভাবে তীর্থ কাজ পরিচালনা করার জন্যে গয়া তীর্থক্ষেত্রের পান্ডাদেরই সম্বর্ধনা দেওয়া হয় ভারত সেবাশ্রম সঙ্গের পক্ষ থেকে।
এছাড়া ১০০ বছর উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় বিশাল শোভাযাত্রা,
ধর্মীয় সম্মেলন, ধর্মীয় প্রবচন, পূজারতি সহ নানা অনুষ্ঠান।
উপস্থিত ছিলেন সঙ্ঘের কার্যকরী সভাপতি শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দজী মহারাজ, সহ সভাপতি শ্রীমৎ স্বামী বিশ্বপ্রেমানন্দজী মহারাজ, প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দজী মহারাজ, যুগ্ম সম্পাদক স্বামী ভাস্করানন্দজী মহারাজ, গয়া শাখার সঞ্চালক স্বামী ধ্যানেশানন্দজী মহারাজ প্রমুখ।
ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ মহারাজ বলেন,তীর্থযাত্রীদের সেবাদানের পাশাপাশী ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা
স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের আদর্শ ও প্রদর্শিত কর্মকান্ড সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়াই তাদের মূল উদ্দেশ্য।