কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গ চাল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পশ্চিমবঙ্গের বহু সংস্থা রয়েছে যারা বিভিন্ন প্রান্তে এবং দেশের বাইরেও রপ্তানি করে থাকে। তবে এবার উত্তর ভারত থেকে যে সমস্ত সংস্থা গুলি ফুড এক্সপোতে এসেছে তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো অমৃতভোগ, লক্ষ্মীভোগ বা এসডিই আগ্রো (থ্রি নট থ্রি) বাসমতি রাইস।
এই সমস্ত সংস্থা গুলির তরফ থেকে বিকাশ আগরওয়াল, বাবুলাল পারেক এবং অনিরুদ্ধ পালের মত মানুষেরা পূর্ব ভারতের বাণিজ্যিক সুবিধার কথা বলেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে রয়েছে লালবাবা রাইস বসুমতি রাইসের মত সংস্থা। তবে উপযুক্ত পরিবহন ও প্রক্রিয়াকরণের অভাবে এ রাজ্যের উৎপাদিত অনেক খাদ্যশস্যই প্রতিবছর নষ্ট হয়।
তাই রাজ্যের উৎপাদিত শস্য প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে যাতে চাষী এবং ব্যবসায়ীরা লাভবান হতে পারে কলকাতার বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণে শুরু হল তিনদিনের ফুড ইন্ডিয়া এক্সপো।
চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এক্সপোর উদ্বোধন করেন ইন্ডিয়ান রাইস এক্সপোর্টার ফেডারেশনের জাতীয় সভাপতি ডক্টর প্রেম গর্গ। তিনি বলেন,পশ্চিমবঙ্গে এধরনের অভিনব মেলার আয়োজনের ফলে এ রাজ্যের উৎপাদিত দানা শস্য সরাসরি ও প্রক্রিয়াকরনের মাধ্যমে বাইরে রপ্তানি করা আরো সহজ হবে বলে তিনি জানান।
মেলার উদ্যোক্তা ‘ব্যাপার এক্সপ্রেসের’ কর্নধার তিলক রাজ অরোরা বলেন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন মেশিন প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং খাদ্যশস্য আমদানি- রপ্তানিকারক সংস্থাগুলি এতে অংশ নিয়েছেন।
অংশগ্রহণকারী শিল্প সংস্থা প্রতিনিধিরা জানান, এই অভিনব খাদ্য মেলায় রাজ্যের খাদ্য শিল্পের বিস্তার আরো বাড়বে।