জয় ভট্টাচার্য
কলকাতা :সেদিন লাল-হলুদ কোচের শরীরের ভাষাই যেন বলে দিচ্ছিল ধারে ও ভারে এগিয়ে থাকা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে নিয়ে তাঁর চিন্তার কথা। তবুও কোথাও যেন তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন প্রয়াত সুভাষ ভৌমিকের সেই পেপটককে। কার্লোসকে কি তাহলে সুভাষ স্বপ্নে বলে দিয়েছিলেন এই মোহনবাগানকে আটকাতে গেলে কি করতে হবে?
এই ভাবতে ভাবতেই ডুরান্ড ফাইনালের আগের দিন স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম। আসতে আসতে বাইপাসের ধারে একদল সমর্থকদের কথাতেও যেন সেদিনের সেই ম্যাচের আলোচনা। ভাবলাম যাক তাহলে মনে সত্যিই ভোম্বল দা বলে দিয়েছেন কুয়াদ্রাতকে।
ফাইনাল ম্যাচের শুরুতেই দেখলাম ট্যাকটিকালি ফুটবল খেলছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। প্রতি আক্রমণে ফায়দা তোলার চেষ্টা। মিলেও গিয়েছিল সুযোগ। কিন্তু কাজে লাগাতে পারল না নন্দকুমার। দ্বিতীয়ার্ধে লাল কার্ড দেখে অনিরুদ্ধ মাঠ ছাড়তেই জ্বলে উঠলো সবুজ-মেরুণ। গোলও হল। কিন্তু সেই গোল শোধ করতে পারল না লাল-হলুদ। কুয়াদ্রাত ভোম্বলদার মতো চেষ্টা করলেন। ম্যাচ শেষে প্রিয় বন্ধু কুয়াদ্রাতকে হয়তো স্বপ্নে বলবেন, ভেঙে পড়ো না। তুমি পারবে। এই দলকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিতে।
তোমার দলে যদি আমার সময়ের মতো দুটো বা তিনটে বাঙালি ফুটবলার থাকতো, যাঁরা জানতো এই জার্সিটাই আমার মা। আমার সবকিছু, তাহলে ম্যাচে তুমিই শেষ হাসি হাসতে। যাক আশীর্বাদ রইল তোমার জন্য।