জয় ভট্টাচার্য
ওই আমরা কারা ইস্টবেঙ্গল। ওই ছেলেটা মোহনবাগান। একশো বছর ধরে মাঠ কাপাচ্ছি কে আমরা কিংবা ওরা। ম্যাচে প্রিয় দল গোল করলেই আনন্দে আত্মহারা হন ওঁরা। ওঁদের পরিচয় ওঁরা ক্লাবের প্রিয় সমর্থক। যে কোনও ম্যাচে কেউ হারবে, কেউ জিতবে এটাই নিয়ম।কিন্তু ম্যাচ শেষে মাঠের লড়াই শেষ না হয়ে ছড়িয়ে পড়ে মাঠের বাইরে। কেন? এই প্রশ্নের উত্তর কে বা কারা দেবেন? ফুটবল তো এই কথা শেখায় না। ফুটবল তো এই বার্তা দেয় না। তবুও এক শ্রেণির সমর্থক প্রতিনিয়ত ফুটবলকে কলুষিত করে চলেন। একবারও কি আমরা ভেবে দেখেছি যে এই ধরনের আচরণ করা লোকেরা কখনও ফুটবল সমর্থক হতে পারে না।গতকাল রাতে ডুরান্ড কাপের ফাইনাল ম্যাচ শেষে কাদাপাড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কিছু ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। বাদ যাননি মহিলারাও যেখানে আমরা বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখি। যেখানে আমরা বিদেশি ফুটবলের মতো ফ্যানস ক্লাব গঠন করি। স্টেডিয়ামে এসে টর্চের আলো জ্বেলে জয় সেলিব্রেশনে মাতি সেখানে কেন এই ধরণের ঘটনা ঘটবে। সত্যিই তো ক্লাব কর্তারা তো এই ধরণের আচরণ করতে শিক্ষা দেন না। তবে কেন এই ঘটনা?আসলে আমরা যতই চেষ্টা করি আর্সেনাল, লিভারপুল, পিএসজি কিংবা বার্সা হব আমরা তা নই। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। ভুলে যাবেন না, যে ক্লাবের জার্সি গায়ে ভেক ধারী কিছু লোক এই ঘটনা ঘটাচ্ছে, তাঁরা জানেন না, সেই ক্লাবের ইতিহাস। যে ক্লাবের হাত ধরে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা প্রথম সূর্যের কিরণ ছড়িয়ে পড়েছিল, যে ক্লাবের জার্সি গায়ে বিভিন্ন সময়ে দেশের নামী দামি খেলোয়াড়রা মাঠ কাঁপিয়েছেন, দয়া করে আর যাই হোক এই ক্লাবের সম্মান হানি করার আগে অন্তত একটিবার ভেবে দেখবেন।