প্রদীপ্ত চৌধুরী
পর্ব পাঁচ
বহু খ্যাতিমান শিল্পীর সাক্ষাৎকার নিয়েছি সাংবাদিক জীবনে। তাঁদের মুখোমুখি বসে কথা বলার সময় যে কী শিহরণ অনুভব করতাম, তা বলে বোঝাতে পারব না।
একবার মানিকতলায় প্রখ্যাত অভিনেত্রী গীতা দে-র বাড়ি গিয়েছিলাম তাঁর ইন্টারভিউ নিতে। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম গিন্নিকেও। গীতাদি মুহূর্তের মধ্যে তাকে আপন করে নিলেন। স্ত্রী সিঁদুর পরে খেয়ালখুশি মতো। সেদিন পরে যায়নি। গীতাদি তাই নিয়েও খুব বকাঝকা করলেন তাকে। একটু অবাক হয়ে গিয়েছিলাম তাঁর নিতান্ত সাধারণ বাড়ি-ঘরদোর দেখে। এত বছর ধরে অভিনয় করছেন।
অথচ কোথাও কোনও সঙ্গতির চিহ্ন নেই। দু’চার কথার পর জিজ্ঞেস করলাম, ‘টিভিতে যখন ‘মেঘে ঢাকা তারা’ বা ‘সমাপ্তি’ দেখায়, তখন কেমন অনুভূতি হয় দিদি?’ বললেন, ‘আমি তো সেগুলো দেখতে পাই না। কেবল টিভি পোষার পয়সা নেই বাবা আমার।’ বেশ কিছুক্ষণ চুপ করেছিলাম। তারপর ধীরে ধীরে জেনে নিয়েছিলাম তাঁর চরম দারিদ্রের কারণগুলো। বড় দুঃখের আর অন্যের বোঝা বওয়া জীবন তাঁর। সে লেখা ছেপে বেরোনোর পর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল বেশ কয়েকটি সংস্থা।