পূর্নজন্মের ভাবনায় যোধপুর পার্ক

কলকাতা:যোধপুর পার্ক তাদের পূজার ভাবনায় নিয়ে এসেছে পুনর্জন্ম।পৃথিবীর আলো, রঙ, রূপ, আমাদের সামনে সুস্পষ্টরূপে দৃশ্যায়িত করার জন্য, যে অঙ্গটি সবচেয়ে জরুরী, সেটি হলো ‘চোখ’। দৃষ্টিহীনদের অন্ধকারের কথা, দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষের অনুভবের বাইরে। আর সেটাই স্বাভাবিক। তবু আমরা তো ভেবে দেখতে পারি? দৃষ্টিহীনরা অন্ধত্বকে, ঈশ্বরের অভিশাপ বা ভাগ্যের লিখন বলেই এতকাল মেনে নিয়েছেন। সেই ভ্রান্ত ধারণা আজ বদলেছে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির মাধ্যমে বহু ধরনের অন্ধত্ব রোধ করা আজ সম্ভব। মৃত্যুর পর নিজের চোখ অন্যকে দানের মাধ্যমে, চাইলেই বেঁচে থাকা যায়, পৃথিবীর আলো রঙের মাঝে। আমাদের দেশে ৪০ মিলিয়ন মানুষ একেবারে অন্ধ বা আংশিক অন্ধ (Blind ) এমনটাই জানাচ্ছেন সমীক্ষকদের একাংশ।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (WHO)-র তথ্য অনুযায়ী এই ৪০ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে, প্রায় ১.৬ মিলিয়ন শিশুও রয়েছে। মৃত্যুর পর যাতে চোখ দুটি অন্য কোনো মানুষের কাজে লাগতে পারে, সেই ভেবেই মরণোত্তর চক্ষুদান করে যান বহু মানুষ। কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে মানুষের অন্ধত্ব মোচন অনেকটাই সম্ভব। চক্ষুদাতা অমর হয়ে থাকেন, অন্যের চোখে। মৃত্যুর পরেও বেঁচে থাকে তার দৃষ্টি। “আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে। তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে।” জাগতিক নিয়মে আমরা ক্ষণস্থায়ী হলেও, অন্তর থেকে আমরা প্রায় সবাই, ফিরে আসতে চাই এই ধরিত্রির বুকে। “আবার আসিব ফিরে, ধানসিড়িটির তীরে এই বাংলায়। আসুন আমরা মরণোত্তর চক্ষুদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হই। পুনর্জন্ম হোক দু চোখের আলোয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *